ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কহারের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের চূড়ান্ত অবস্থান ও করণীয় নির্ধারণে বুধবার (১৬ জুলাই) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অর্থ, কৃষি, খাদ্য, পরিবেশ, জ্বালানিসহ ১১টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন বৈঠকে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আমদানি-রফতানির অনেক কিছুতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জড়িত। তাদের সবার আবার নিজস্ব আইন আছে। তাই আজ তাদের মতামত নেওয়া হলো। এ বিষয়ে এখন নিয়মিত বৈঠক হবে। তারপর মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানপত্র প্রস্তুত করে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে পাঠাব। এর ভিত্তিতেই আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে। আর এটি (শুল্ক) এখন গ্লোবাল বিষয়। সারাবিশ্ব যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে, আমরাও সেটিই করছি।
বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্যসহ বেশকিছু পণ্য আমদানি করি। সেগুলোর বিষয়ে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে কিছু আইন-কানুন রয়েছে। সেসব বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কবে প্রস্তাব পাঠাবে- জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেন, তৃতীয় দফার আলোচনা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো বাংলাদেশকে নির্দিষ্ট কোনো সময় দেয়নি। আমরা যোগাযোগ করছি।
জানা যায়, বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে অনেকাংশে একমত হলেও বাণিজ্যের বাইরের অনেক বিষয় এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দর কষাকষি পর্যায়ে আটকে আছে। বৈঠকে সেরকম কোনো ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব কিছু জানান নি।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের (গোপনীয়তার চুক্তি) কারণে দর কষাকষি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা।
এদিকে অভ্যন্তরীণ বৈঠক ছাড়াও জুম প্ল্যাটফর্মে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কোম্পানির সঙ্গেও বৈঠক করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে রয়েছে- শেভরন ও এক্সিলারেট এনার্জি। এছাড়া আগামী ২২ জুলাই আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।