গোপালগঞ্জ: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) সমাবেশে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ), যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন পুলিশসহ বেশ কয়েকজন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮) ও টুঙ্গীপাড়ার সোহেল মোল্লা (৪১)।
এ বিষয়ে জানতে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এর আগে, দুপুরের দিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের মারধর করেন।
এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জে ১৪৪ জারি ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে অবশ্য ২২ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জুলাই পদযাত্রার কর্মসূচি হিসেবে আয়োজিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপি সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।