ঢাকা: গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে মশাল মিছিল ও তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বুধবার (১৭ জুলাই) বাংলামোটর মোড় থেকে শুরু হয়ে কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর উত্তরের দফতর সমন্বয়কারী এম এম শোয়াইবের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
মশাল মিছিল থেকে ১৭ জুলাই বিকেল ৪টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি থানায় একযোগে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
মিছিলে অংশ নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী আকরাম হোসাইন বলেন, ‘আজ গোপালগঞ্জে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। সারা দেশ থেকে সশস্ত্র ক্যাডার এনে আমাদের গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। এতে আমাদের দু’জন কেন্দ্রীয় সংগঠক গুরুতর আহত হয়েছেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। না হলে জুলাই বিপ্লবীরা রাজপথে ফিরে আসবে এবং মুজিববাদকে চিরতরে কবর দেবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রধান সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও এখনো তাদের সশস্ত্র ক্যাডার দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে। এই ঘটনা ইন্টারিম সরকারের নীরবতা ও ব্যর্থতাকেই প্রকাশ করে।’
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস এম শাহরিয়ার বলেন, ‘জুলাই সন্তানদের ওপর হামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো আমরা এখনো জুলাই গণহত্যার বিচার শুরুই করতে পারিনি। আজকের হামলার দায় ইন্টারিম সরকার এড়াতে পারে না।’
ঢাকা মহানগর উত্তর-এর কেন্দ্রীয় সংগঠক মোস্তাক আহমেদ শিশির বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পরও সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই, এ আস্ফালন মেনে নেওয়া হবে না।’
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ঢাকার প্রতিটি থানার সামনে একযোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এনসিপি নেতারা সব থানার এলাকাবাসী ও ছাত্র-জনতাকে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।