ঢাকা: নিবন্ধন স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলার পরও থেকে ইসির সাইটে নৌকা একবার আসে তো আরেকবার যায়। যা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ইসির ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা গেছে নিবন্ধিত দলগুলোর তালিকায় আওয়ামী লীগের নামের পাশে নৌকা প্রতীক। এর ঠিক কিছু সময় পর আবার ওয়েবসাইটে ঢুকলে আবারও নাই হয়ে যায় আওয়ামী লীগের নামের পাশে থাকা নৌকা প্রতীক।
কিন্তু গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) সকালেই নৌকা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এরপর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বিকেলে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, প্রতীকের তফসিলে নৌকা থাকলেও বিভ্রান্তি এড়াতে সাপ্লিমেন্টারি প্ল্যাটফর্ম ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন স্থগিত হওয়া আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা সরিয়ে রাখা হয়েছে।
এরপর ওইদিনই সন্ধ্যা ৬টায় আবার ওয়েবসাইটে নৌকা ফিরে আসে। কিন্তু পরক্ষণেই তা আবার চলে যায়। এ নিয়ে এমন ঘটনা কয়েকবার ঘটে ইসির ওয়েবসাইটে।
এ বিষয়ে ইসির সিস্টেম এনালিস্ট মামুনুর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এটি একটি কারিগরি ক্রটি। তিনি বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার, মোবাইল যে ডিভাইসই ব্যবহার করি এর মধ্যে কিন্তু ক্যাচ থেকে যায়। যখন ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল হয় তখন সার্ভারে কানেক্ট না করে ক্যাচ থেকে নিয়ে নেয় এ কারণেও এমনটা হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি আমাদের সার্ভারে ঢুকে দেখেছি গতকাল এটা যেভাবে মুছে ফেলা হয়েছে সেভাবেই আছে। এ কারণেই নির্দিষ্ট ব্যাখা দেওয়া মুশকিল।
আবারও যেন সার্ভারে ক্যাচের কারণে ওয়েবসাইটে এরকম না হয় সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসির সিস্টেম এনালিস্ট মামুনুর হোসেন।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব আলী নেওয়াজ জানান, গতকাল সচিব স্যার সংবাদ সম্মেলনের পর আমি আর কিছু জানি না। এখন আবার কেন প্রতীক দেখা যাচ্ছে সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এখন জনমনে কিছু কথাবার্তা দেখা যাচ্ছে যে নৌকা প্রতীক নিয়ে। মোটামুটিভাবে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। তাই বিভ্রান্তি যেন না থাকে বা এ ধরনের কোনো রকমের কনফিউশন যাতে না থাকে, সেই জিনিসটাকে এলিমিনেট করার জন্য এটা করা হয়েছে। যেহেতু স্থগিত আদেশের আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধনটা এখন আছে। সেজন্য কমিশন মনে করেছে যে, এটাকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো কারণ নাই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের উপর কোনো চাপ নেই। নির্বাচন কমিশন মনে করেছে এটা সরিয়ে রাখা ভালো হবে। প্রতীকের তফসিলে নৌকা প্রতীক থাকবে, এটা আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। গত বুধবার সকালে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন পাওয়ার তারিখ, প্রতীক ও প্রতীকের নাম ইসির ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়।