নীলফামারী: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নীলফামারীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে জেলা শহরের বাজার মসজিদ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরঙ্গী মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, নায়েবে আমির অধ্যাপক ড. খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি ও নীলফামারী-২ আসনে মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা কর্মীরা।
নেতারা গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের গাড়িবহরে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনের কঠোর ও নিরপেক্ষ ভূমিকা অপরিহার্য।’
নীলফামারী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা পরিকল্পিতভাবে এই বর্বর হামলা চালিয়েছে। তারা এখনো ফ্যাসিবাদের ধারক-বাহক। বাংলাদেশের মানুষ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। শেখ হাসিনা ও তার অনুচরেরা বাংলার মাটিতে আর কখনও স্থান পাবে না।’
জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক ড. খায়রুল আনাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ এখনো আওয়ামী লীগ মুক্ত হয়নি। জুলাইয়ের সেই যোদ্ধারা সমাবেশ করতে গিয়েছিল তাদের পদযাত্রা ছিল দিনভর সেই পতিত আওয়ামী লীগ প্রেতাত্মারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। জুলাই যোদ্ধাদের মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল সেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা। আওয়ামী লীগের আসামিরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় কেন। দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘জুলাই মাস শোক ও গৌরবের। এ মাসেই জুলাই যোদ্ধারা গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে গেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃত্বে তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এই বর্বর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’