পাকিস্তানে পাঞ্জাব প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ সময় আরও ২৯০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির সরকার বেশ কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ বর্ষণে অধিকাংশ নিহত ব্যক্তি ভেঙে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। বাকিরা হয় ডুবে গেছেন অথবা বিদ্যুতায়িত হয়েছেন।
রাজধানী ইসলামাবাদের পাশের শহর রাওয়ালপিন্ডির কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবারকে ছুটির দিন ঘোষণা করেছিল, যাতে মানুষ বাড়িতে থাকে। এ ছাড়া, শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি ফুলে ওঠা নদীর কাছাকাছি বসবাসকারীদের সরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনায় জুন মাসের শেষের দিকে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৮০ জনে পৌঁছেছে। এর অর্ধেকেরও বেশি শিশু। বন্যার কারণে পাঞ্জাব জুড়ে বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ হয়ে গেছে এবং বহু ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) একটি পোস্টে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিয়ে কাজ করছে।’
গত ২৪ ঘণ্টায় চাকওয়াল শহরে ৪০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী নৌকাগুলো বন্যায় আটকে পড়া মানুষকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সামরিক হেলিকপ্টারগুলোও ব্যাপকভাবে প্লাবিত এলাকাগুলোর ওপর চক্কর দিতে দেখা গেছে।
পাঞ্জাব কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, সপ্তাহান্ত জুড়ে আরও বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যা শঙ্কার করা হচ্ছে। প্রদেশের হাজার হাজার উদ্ধারকর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।