ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের পেছনের কৌশলগত সাফল্যের রহস্য ফাঁস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। পত্রিকাটি এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরান পরীক্ষামূলক কৌশল প্রয়োগ করে ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ফাঁকফোকর চিহ্নিত করেছে এবং তা ভেদ করতেও সক্ষম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের শুরু থেকেই ইরান দফায় দফায় আক্রমণ চালায়, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং আঘাতের সময় ও ধরনে বৈচিত্র্য আনে। এতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে আট শতাংশ ব্যর্থ হলেও শেষ দিকে তা বেড়ে ১৬ শতাংশে পৌঁছে।
সর্বোচ্চ সাফল্য আসে ২২ জুন—যুদ্ধ শেষের দুদিন আগে—যখন ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১০টি ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানে।
ইসরায়েলি বাহিনী শুরুতে দাবি করেছিল যে তারা ৯০–৯৫ শতাংশ আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষে এই হার ৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে বলে স্বীকার করে তারা। যদিও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তব ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
র্যান্ড করপোরেশনের বিশ্লেষক রাফায়েল কোহেন বলেন, “কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই নিখুঁত নয়—প্রতিটি ব্যবস্থাতেই ফাঁক থাকে।”
এই যুদ্ধের অভিজ্ঞতায় যুক্তরাষ্ট্রও নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের পথে হাঁটছে। ‘গোল্ডেন ডোম’ নামের একটি প্রকল্পে ১৭৫ বিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দ করেছে মার্কিন প্রশাসন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশই এখন নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ও হামলার সক্ষমতা পুনর্মূল্যায়ন করছে, যাতে ভবিষ্যতের যেকোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা যায়।