হামাসের সঙ্গে মার্চ মাসে অস্ত্রবিরতি ভেঙে ফেলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার ভবন পরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া সংবাদমাধ্যম বিবিসির বরাতে জানা গেছে, মে মাস থেকে গাজায় ধ্বংসকাজে শ্রমিক নিয়োগের জন্য বহু বিজ্ঞাপন পোস্ট করা হয়েছে ইসরায়েলি ফেসবুক গ্রুপে।
স্যাটেলাইট চিত্র ও যাচাইকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন করে ডজনখানেক ডি-৯ বুলডোজার পেয়েছে আইডিএফ।
ইসরায়েলি বাহিনী একাধিক টাওয়ার, স্কুল, হাসপাতাল ও অবকাঠামোতে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ চালিয়েছে। ধুলা ও ধ্বংসস্তূপে ঢেকে যাওয়া এলাকাগুলোতে এখন আর কোনো স্থাপনার অস্তিত্ব নেই।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, এই ধ্বংস সামরিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে করা হয়েছে এবং হামাস বেসামরিক ভবনগুলোর ভেতরে সামরিক সরঞ্জাম লুকিয়ে রেখেছে।
তবে মানবাধিকার আইনবিদরা বলছেন, এসব ধ্বংসকাজ যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে, কোন দখলদার শক্তির জন্য বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার অনুমতি কেবলমাত্র জরুরি সামরিক প্রয়োজনে সীমাবদ্ধ।
আইন বিশেষজ্ঞ ইইতান ডায়মন্ড, জেরুজালেমে ডায়াকোনিয়া ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটারিয়ান ল সেন্টারের সিনিয়র আইনি উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের ধ্বংস শুধু ভবিষ্যতে সেগুলো ব্যবহারের সম্ভাবনার আশঙ্কা থেকে করা হলে তা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পরিপন্থী।’