ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। সাঁতার জানা থাকা সত্ত্বেও পানিতে ডুবে তার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সহপাঠীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়। চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন একমাত্র ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর নাক থেকে রক্ত ঝরছিল। সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে আঘাতের চিহ্নের কথাও বলা হয়েছে। সহপাঠীদের দাবি, পানিতে ডুবে মরলে সাধারণত পেট ও শরীর ফুলে ওঠে—কিন্তু সাজিদের ক্ষেত্রে এমন লক্ষণ দেখা যায়নি।
তবে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জানান, প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর কোনও লক্ষণ মেলেনি। ভিসেরা রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে ।
সাজিদের মৃত্যুকে ‘রহস্যজনক’ বলে দাবি করেন তার বাবা আহসান হাবিবুল্লাহ। সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে মরদেহবাহী ফ্রিজিং ভ্যান আটকে বিক্ষোভ করেন। পরে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আশ্বাসে তারা লাশ ছাড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন পৃথকভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হল প্রশাসনের তিন সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক হলেন অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাঁচ সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। এই কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।