ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহ’র মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এটি নিছক দুর্ঘটনা নয় বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
এদিকে মরদেহ নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম প্রস্তুতকৃত সুরতহাল প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তার পরনে ছিল কালো রঙের ট্রাউজার ও ধূসর গোল গলা গেঞ্জি। গায়ের রং ফরসা। তার উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, চুল কালো ও আনুমানিক ৮ ইঞ্চি লম্বা। চোখ বন্ধ অবস্থায় ছিল এবং একহাত ছিল অর্ধ মুষ্টিবদ্ধ। দৈহিক অবস্থার তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিক ও নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।
জখমের অবস্থা বর্ণনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়– মাথা-কপাল ও মুখমণ্ডল স্বাভাবিক। মুখে কালো দাড়ি ও গোঁফ আছে। নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। বাম হাতের কব্জিব উপর চামড়া ছেড়া আঘাতের চিহ্ন ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচে চামড়া ছেড়ার মতো আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাতের আঙুল অর্ধমুষ্টি অবস্থায় আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুক, পেট, পিঠ, কোমর থেকে পা পর্যন্ত শরীরের অংশ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। যৌনাঙ্গ ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আঘাতের কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি। মৃতের বন্ধু ইসমাইল হোসেন এবং ডা. সেলিমের দ্বারা লাশ উলটপালট করে কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, নিহত সাজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এবং শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে ইবির শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ৮টায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ড. সুতাপা রায় মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাজিদের মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখেন শিক্ষার্থীরা।