Friday 18 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‎হলফনামায় তথ্য গোপন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি সুযোগ নেই: ইসি ‎

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুলাই ২০২৫ ২১:৪২

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‎ঢাকা: নির্বাচনি হলফনামায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে আইনি সুযোগ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে নেই। দুদকের চিঠির এ সংক্রান্ত জবাব দিয়েছে ইসি।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

‎গত ২২ মে দুদকের তরফে নির্বাচন কমিশন সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে দাখিলকৃত হলফনামায় নিজের সম্পদের বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর আওতায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা চিঠির উত্তর দিয়েছি। দুদককে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, আরপিও-এর বিধানে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। আরপিও-তে এ ধরনের কোনো প্রভিশন নেই জানিয়ে দিয়েছি।’

‎সম্পদের তথ্য গোপনে কেন ব্যবস্থা নিতে পারে না

‎দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদকে শেখ হাসিনার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে হলফনামায় ৬ দশমিক ৫০ একর কৃষিজমি এবং তার দাম ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।

‎কিন্তু দুদক যাচাই করে দেখেছে, শেখ হাসিনার নামে ২৮ দশমিক ৪১১ একর কৃষিজমি রয়েছে। যার মধ্যে কেনার জমির মোট দাম ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০ টাকা।

‎এ হিসেবে তিনি ২১ দশমিক ৯১ একর জমির তথ্য গোপন করেছেন এবং ক্রয়মূল্যও প্রকৃত দামের চেয়ে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১০ টাকা কম দেখিয়েছেন, যা হলফনামায় ‘অসত্য তথ্য দেওয়ার শামিল’।

‎একজন নির্বাচন কমিশনার জানান, হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এলে দুটি বিষয় দেখতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) এর ১২ অনুচ্ছেদে প্রার্থীর যোগ্য-অযোগ্যতার বিষয়টি রয়েছে। হলফনামার এমন কোনো তথ্য অসত্য দিলেন প্রার্থী, যা তার প্রার্থী বা নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্যতা- তাহলে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

‎তিনি বলেন, ‘যেমন ঋণখেলাপের বিষয়টি অযোগ্যতার মধ্যে পড়ে; হলফনামায় এ ধরনের বিষয়ে অসত্য তথ্য থাকলে ইসির করার কিছু থাকে। কিন্তু, সম্পদের তথ্যে গড়মিল হলে বা অসত্য তথ্য দিয়েছে অভিযোগ আনলে এ সংক্রান্ত বিষয়টি অযোগ্যতার মধ্যে পড়ে না। সেক্ষেত্রে ইসির করার কিছু থাকে না বিদ্যমান সুযোগ আরপিও-তে। তাহলে যেসব বিষয়ে অভিযোগ আসে সে বিষয়ে স্ব স্ব সংস্থা প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার থাকে।’

‎ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার একগুচ্ছ আইনির সংস্কার আসছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও ইতোমধ্যে হলফনামার অসত্য তথ্য দিলে ভোটের পরেও ব্যবস্থা নেওয়া এবং নির্বাচন বাতিলের মতো সুপারিশ করেছে।

‎সর্বিক সুপারিশ পযালোচনা করে আরপিও সংস্কার প্রয়োজনীয় প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করলে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সায় পেলে পরবর্তীতে অধ্যাদেশ আকারে সংশোধন যুক্ত হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

‎সারাবাংলা/এনএল/এইচআই

ইসি দুদক শেখ হাসিনা হলফনামা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর