ঢাকা: “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে ‘উইদাউট আওয়ামী লীগ’”—এই ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বিজয়স্তম্ভে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শেষের পথসভায় তিনি বলেন, “আমরা সেই রাজনীতি গঠন করা শুরু করেছি।”
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “গত পরশু আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ আর কোনো তওবার সুযোগ রাখেনি। কিয়ামতের পরে যেমন তওবা গ্রহণ হয় না, তেমনি এই দলটির জন্যও আর ক্ষমা নেই।”
হাসনাত আরও বলেন, “যারা আজ খুনিদের পক্ষে কথা বলছে, তারা আওয়ামী লীগের ডেড লিস্টে নেই বরং ব্যবসা আর ব্যাকডোর ডিপ্লোম্যাসিতে জড়িত। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন মানে আমাদের জন্য মৃত্যুর পরোয়ানা। আমরা তা মেনে নেব না।”
তিনি বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সমালোচনা করে বলেন, “আপনাদের বুদ্ধিজীবিতা এখন কোম্পানির কাছে বর্গা দেওয়া হয়েছে। আমরা কিন্তু জনগণের কাছে আমাদের জীবনের দায় দিয়ে রেখেছি। যারা হাসিনার আমলে টিভি আর কলম বিক্রি করেছিলেন, তারা ইতিহাসের কাছে বুদ্ধিপাপী। তাদের দিয়ে এই দেশ গড়া যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের পতন কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে হয়নি। এটা ছিল গণঅভ্যুত্থানের ফসল। সেই অভ্যুত্থানই আমাদের নতুন পথ দেখিয়েছে। বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পথ চলা শেষ হবে আওয়ামী লীগবিহীন ভবিষ্যৎ দিয়ে।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ।