Saturday 19 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নিজের টাকা খরচ করে এসেছি জাতীয় সমাবেশে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৭ | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৫:৩৪

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে ঢাবি এলাকায় নেতা-কর্মীদের ভিড়। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: মো. বদরুল ইসলাম জামায়াতের একজন কর্মী। ৩০টি বাস ভাড়া করে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি। উদ্দেশ্য জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে শাহবাগে কথা হয় তার সাথে।

তিনি বলেন, ‘নিজের টাকায় ঢাকা এসেছি। যারা এসেছে তারাও টাকা দিয়েছে। সেই টাকায় বাস ভাড়া, খাবারসহ সবকিছু এখনা থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আমিরে জামায়াতের ডাকে ছুটে এসেছি।’

অনেকে বলেন আপনারা চাঁদাবাজি করে সমাবেশ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তিও দেখাতে পারবে না যে আমরা চাঁদাবাজি করি। বাজার দখল করে থাকলে দেখান, পরিবহন সেক্টর দখল করেছি দেখান, গরুর হাট নিয়েছি দেখান, নদীর ঘাট নিয়েছি দেখান। আসলে একটিও পারবে না কেউ। শুধু মুখেই বলে বেড়ায়। এতে আমরা কান দেই না। আমরা অনুদান দেই নিজে এবং আমাদের লোকজন যারা চাকরি করে, ব্যবসা করে তারাও দেয়। কোনো জোর জবরদস্তি নেই।’

বিজ্ঞাপন

জামায়াত দুর্যোগে পাশে থাকে, দুর্ঘটনায় পাশে থাকে, বন্যায় সহযোগিতা নিয়ে থাকে, জুলাই শহিদদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নিজের অসচ্ছল ও অবহেলিত কর্মীদেরও সহযোগিতা করে থাকে জামায়াত।

বদরুল ইসলাম বলেন, দেশ গড়তে দরকার শৃঙ্খলার। সেটি দল থেকে আমরা শিখেছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা পথ চলি।

ঠাকুরগাঁওয়ের বদরুল ইসলামের মতো রাজশাহী থেকে এসেছেন বোরহান কবীর। তিনি বলেন, ৫০ সিটের বাসে এসেছি অন্তত ৭০ জন। অনেকটা আনন্দ নিয়েই ঢাকায় এসেছি। নিজেরা দেড় হাজার করে টাকা দিয়েছি। সেই টাকায় বাস ভাড়া, খাওয়া, চিকিৎসা সবই ব্যবস্থা করা হয়েছে নিজেদের মত করে। সমাবেশে এসেছি কে কখন খাওয়াবে বা না পেয়ে কাকে দোষ দিবো এরকম করার সুযোগ নেই। সবাই নিজের মতো করে ব্যবস্থাপনা করেছে। নিজেদের শৃঙ্খলা মোতাবেক সমাবেশ শেষ করে ঠিক মতো বাড়ি ফেরাটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টায় শুরু হয়। তবে তার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সমাবেশের মাঠ পেরিয়ে আশেপাশের এলাকা সড়ক, মাঠ, ভবনের ছাদ সব জায়গায় লোকে লোকারণ্যে পরিণত হয়। আশেপাশের সড়কে ট্রাফিকের ব্যবস্থাপনাও করছে নেতাকর্মীদের ভলান্টিয়াররা।

জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলকেই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মহাসমাবেশস্থলে ওজু করা, টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। আছে নামাজের ব্যবস্থাও। মেডিকেল বুথ আছে। পর্যাপ্ত শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।

সারাবাংলা/ইউজে/এনজে

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর