ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকেই ঢল নামে দলটির নেতাকর্মীদের। কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকা। আর এ কর্মসূচি ঘিরে পতাকা, ব্যাজ, পাঞ্জাবি-টুপি আর আতর বিক্রির ধুম পড়েছে। আগ্রহ নিয়েই এসব কিনছেন সমাবেশে আসা অনেকেই। ভিড় রয়েছে বিভিন্ন খাবারের স্টলেও।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও হাইকোর্ট এলাকায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। পাঞ্জাবি-পাজামা, টুপি-আতর ও জায়নামাজ নিয়ে সড়কের পাশে স্টল দেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও। ঘুরে ঘুরে পতাকাও বিক্রি করছেন অনেকে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতিটি পতাকা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকা। মাথার ব্যাজ ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় পতাকা আর ব্যাজই বেশি। নরসিংদী থেকে পতাকা নিয়ে আসেন মো. রফিক। তিনি সকাল থেকে পাঁচ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছেন।
টুপি-পাঞ্জাবি বিক্রি করতে ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন বিক্রেতা শাহজাহান আলী। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে এসব বিক্রি করি। বিশেষ করে মাহফিল-সমাবেশ উপলক্ষে বেশি যাওয়া হয়। আজ জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে এখানে আসি। সকাল থেকে ভালোই বেচাকেনা হয়েছে। এখনও অর্ধবেলা রয়েছে। আশাকরি কয়েক হাজার টাকার পাঞ্জাবি-টুপি বিক্রি করতে পারবো।
এছাড়া খাবারের মধ্যে ডিম খিচুড়ি, আখের রস, আনারস, ফাস্টফুড ও ঠান্ডা পানীয়র বিভিন্ন স্টলেও লোকজনের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে পানি আর মৌসুমি ফল বেশি কিনছেন তারা।
এদিকে, এরই মধ্যে কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দুপুর ২টায় শুরু হয়েছে সমাবেশের মূল পর্ব। তবে সকাল ৯টার পর ইসলামী সংগীত, কবিতা আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। এসব পরিবেশন করেন সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ জাতীয় নেতারা।
উল্লেখ্য, সাত দফা দাবিতে এ সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। এসব দাবি হলো- সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদ ও আহতদের পরিবারে পূনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।