পটুয়াখালী: কুয়াকাটায় নিখোঁজের দুই দিন পর সবুজ হাওলাদার (২৩) নামে এক যুবকের লাশ পরিত্যক্ত বাড়ির ঝোপ থেকে উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় প্রধান আসামি লাল চাঁন (২৪) ও তার সহযোগী বেল্লাল (২০)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত সবুজ কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বাসার হাওলাদারের ছেলে। তার গলায় গামছা পেঁচানো ছিল।
শনিবার (১৯ জুলাই) ভোরে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে লাল চাঁনকে এবং পরে তার স্বীকারোক্তিতে বেল্লালকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। লাল চাঁনের ঘর থেকে নিহতের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়।
কলাপাড়া সার্কেলের এডিশনাল এসপি সমীর সরকার সংবাদ সম্মেলনে জানান, আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পারস্পরিক সম্পর্ক থাকলেও আসামিদের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে পুরোনো বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাল চাঁনের মোবাইল ব্যবহার করে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সবুজ। এরপর তিনি ওই মোবাইল দিয়ে লাল চাঁনের শরীরের ভিডিও ধারণ করেন এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে বেল্লাল সেখানে উপস্থিত হয়।
পরবর্তীতে তারা পরিকল্পিতভাবে সবুজকে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ১৭ জুলাই রাত ১টা ১৫ মিনিটে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ গোপনে ঝোপের মধ্যে ফেলে রাখে।