ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আসন্ন পর্যটন মৌসুমে কুয়াকাটা ও কক্সবাজার পরিচ্ছন্ন রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বর্জ্য সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন স্থাপনেও গুরুত্বারোপ করেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত বাজেট বাস্তবায়নবিষয়ক এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পর্যটন এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। পর্যটকেরা যেন পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করেন, সেই সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
সভায় তিনি পলিথিনবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘হাতির করিডর যেন কোনো অবস্থায় বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য বন অধিদফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে হাতির অপছন্দের গাছ এবং করিডর ও বনে হাতির পছন্দের খাদ্যোপযোগী গাছ লাগাতে হবে।’
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব খায়রুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীন, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও যুগ্মসচিব একেএম শওকত আলম মজুমদার এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে উপদেষ্টা পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে একযোগে কাজ করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।