ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রের সংকট দেখা যাচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে ফার্মগেইটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
‘‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান’’ শীর্ষক এ স্মরণসভা আয়োজন করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও শিক্ষকরা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, ‘‘সামনে গণতন্ত্রের যে সংকট দেখা যাচ্ছে, সেই সংকট উত্তরণে আমাদের অনেক সজাগ-সর্তক থাকতে হবে। গণতন্ত্র উত্তরণের যে স্বপ্ন আমাদের, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের আরও সজাগ হয়ে, আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস আমাদের তরুণ নেতা যিনি সমস্ত বাংলাদেশের মানুষকে একটা স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার হাতকে শক্তিশালী করব, বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলব এবং সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন সার্বভৌম অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।”
ফখরুল বলেন, ‘‘আজকে আমি আমার নেতা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে একটা অনুরোধ রাখতে চাই, নির্বাচনের পরে আপনি যদি সরকার গঠন করেন জনগণের সমর্থনে তাহলে আমাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত হবে যেসব পরিবার তাদের সন্তানকে হারিয়েছে, অসহায় হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাটা হবে আমাদের প্রথম কাজ হবে।’’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘আজকে আমাদের রাজনৈতিক এই অবস্থার মধ্য থেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ইনশাল্লাহ এটাকে রোধ করব। যাতে এদেশে গণতন্ত্র আসে এবং আমরা ভোট দিতে পারি। আমি বলছি না বিএনপিকে জয়যুক্ত করেন। আমরাই ক্ষমতায় যাবো… এরকম কথা আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও বলেন নি। কথা হল যে, আমরা ভালো একটা নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের পরে দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এক সঙ্গে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, ‘‘আমার এলাকায় দিয়ে বেশ কিছু মিছিল গেছে। বহুদিন ১৬/১৭ বছর মিছিলের আওয়াজ তো পাই না। আমার বাড়ি রাস্তার (শাহজাহানপুর) পাশে। ভালো লাগে দেখি না ক্যাডা যায়। তো খবর নিলাম ওখানে আওয়ামী লীগের ভালো ভালো লোকজন যাচ্ছে। আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন, নাও করতে পারেন। কথা বলা দরকার বলে দিলাম।”
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘গতকাল দেখলাম আরেকটা দলের পদযাত্রার কর্মসূচি। ওখানেও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে দেখা গেছে। পেপারে ছবি আসছে, আমার বক্তব্য না ভাই। আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলব, আবার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে মাথায় নিয়ে নাচব, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াব— এটা তো হতে দেওয়া যায় না।”
অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ড.মঈন খান, রুহুল কবির রিজভী, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী, ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আবু হোরায়রা, গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, ইমতিয়াজ আহমেদ আবির, সাজ্জাদ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন সজলের স্বজনরা এবং গণঅভ্যুত্থানে আহত আল মিরাজ প্রমুখ।
