ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টার নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘ন্যূনতম ভোট পাওয়া দলগুলোরও মতামত দেওয়ার জায়গা থাকতে হবে। দশমিক ৫ কিংবা ১ শতাংশ ভোট পাওয়া দলগুলোকেও প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের ১৫তম দিনের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
সাকি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, অনেক দলই জনগণের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভোট পেলেও তাদের সংসদে কোনো সদস্য নেই। অতীতে এমন উদাহরণ আছে। এ কারণে কেবল সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল নয়, একটি ভোট পেলেও তারা যেন প্রধান উপদেষ্টার নাম প্রস্তাব করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের জন্য বাছাই কমিটিতে যদি কেবল তিনটি দল- সরকারি দল, প্রধান বিরোধী দল ও বৃহত্তম তৃতীয় দল থাকে, তাহলে গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বমূলক চরিত্র ক্ষুণ্ণ হবে। তাই র্যাঙ্কড চয়েস কিংবা আরও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সব দলের মতামত গ্রহণযোগ্য করে তোলা উচিত।’
জোনায়েদ সাকি জানান, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হতো। এখন প্রস্তাব হচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিতে হবে। যদি প্রার্থীদের মধ্যে টাই হয়, তাহলে র্যাঙ্কড চয়েস পদ্ধতিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাবও আলোচনায় এসেছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘এই বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠবে এবং একটি গ্রহণযোগ্য কাঠামো তৈরি হবে, যাতে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।’