জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণকারী ট্রাকের কাছে ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা ৬৭ ফিলিস্তিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। রোববার (২০ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জড়ো হওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নতুন করে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, তাদের ২৫টি ট্রাকের বহর ইসরায়েল থেকে গাজায় ঢোকার চেকপয়েন্ট পার হওয়ার পরপরই ক্ষুধার্ত বেসামরিকদের ব্যাপক ভিড়ের মধ্যে পড়ে, ওই বেসামরিকদের লক্ষ্য করে পরে গুলিবর্ষণ হয়।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, তারা ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ মোকাবিলায় ‘সতর্কতামূলক গুলি ছুড়েছিল’।
বিবিসি জানিয়েছে, এ ঘটনায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের যে সংখ্যা বলছে, তা নিয়ে আইডিএফের আপত্তি আছে।
গাজার অন্যত্র ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা আরও ছয়জন নিহত হয়েছে, আহত দেড়শ এর বেশি, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।
সব মিলিয়ে তাদের হিসাবে কেবল রোববারই ইসরায়েলি গুলি ও বিমান হামলায় ৮৮ জন নিহত হয়েছে।
রোববারের উত্তর গাজার হতাহতদের বেশিরভাগকেই নিয়ে যাওয়া হয় শিফা হাসপাতালে। হাসপাতালটির চিকিৎসা পরিচালক ড. হাসান আল-শায়ের বিবিসিকে বলেছেন, তাদের হাসপাতাল আর চাপ সামলাতে পারছে না, তাই অনেককে অন্য ফিল্ড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের বাইরে এক নারী বিবিসিকে বলেন, পুরো জনগোষ্ঠীই মারা পড়ছে। শিশুরা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে, কারণ তাদের খাওয়ার মতো কিছুই নেই। মানুষজন শুধু লবণ আর পানি খেয়ে বেঁচে আছে, শুধু লবণ আর পানি।