ঢাকা: শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, ‘লম্বা জীবন কাটানো শহিদদের আর কোনো আকাঙ্ক্ষা ছিল না, তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল দামী জীবন। যারা শহিদ হয়েছেন তারা এদেশের সূর্যসন্তান। যারা কোনোদিন ভাবে নাই তারা মসনদ থেকে পালাবে, তাদেরকে বিন্দু বিন্দু শক্তি অর্জন করে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে শহিদেরা। আমি ভীষণভাবে ঋণী এইসব শহিদদের কাছে।’
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে ‘জুলাই আন্দোলন স্মৃতি সংগ্রহশালা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের গৌরবময় ইতিহাসকে সংগ্ৰহ করা। জুলাইয়ের অনেক স্মৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, এগুলোকে একত্র করা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘দেশকে ভালোবেসে যারা জীবন দিয়েছে আমরা তাদের রক্ত কারো দলীয় রাজনীতিতে দলিত হতে দিব না। এই পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন হয়েছে সেগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই কেউ যদি ইতিহাসের ঘটনাগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায় তবে আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়াব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটি কিছু মানুষের (শহিদ ও আহত) ঋণ স্বীকার করার জন্য একটি ছোট আয়োজন। এখন শহিদ ও তাদের পরিবারদের ধন্যবাদ জানানোর পালা। সীমিত পরিসরে আমরা উদ্বোধনী কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের ঋণ স্বীকার শুরু করলাম। ভবিষ্যতে আমরা এর পরিধি আরও বৃদ্ধি করবো।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ‘জুলাই আন্দোলন স্মৃতি সংগ্রহশালা’ সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এছাড়াও শহিদ মো. আবু সাঈদ মিয়া, শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, শহিদ মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফাইয়াজ) এবং শহিদ মো. ওয়াসিম আকরামের স্বজনরা অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন।