ঢাকা: কেউ ছেলেকে খুঁজছেন। কেউবা মেয়েকে খুঁজছেন। সন্তান হারিয়ে কিংবা সন্তানের পুড়ে যাওয়া মুখ দেখে ভেঙ্গে পড়ছেন স্বজনেরা। শোকে বিহবল রাজধানীর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালটিতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আরিয়ান আশরাফ নাফিসের শরীরের ৯৫ শতাংশ দ্বগ্ধ হয়েছে। আইসিইউ’র সামনে নাফিসের মা তাহমিনার সঙ্গে কথা হলে সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘একই স্কুলে আমার ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে। ছেলে নাফিস দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ে তাহিয়া আশরাফ নাজিয়া পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। আমার ছেলে এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিংয়ে গিয়ে বোনকে আনতে গিয়েছিল।’ কিন্তু তার বোনকে আর খুঁজে পাচ্ছি না বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাহমিনা।
নাজিয়ার মা বলেন, ‘কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজা হয়েছে, কিন্তু পাইনি। এখানে ছেলে ভর্তি। ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। জিজ্ঞেস করা হলে কেউ কেউ বলেছে, এখানে আনা হয়েছে। কিন্তু খুজে পাচ্ছি না।’
নাজিয়ার মামা সুইট তার ভাগ্নির সন্ধান চেয়েছেন। সন্তানকে খুঁজে পেতে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
একই অবস্থা অন্যান্য স্বজনদেরও। কারো চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে, কেউ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না সন্তান হারানোর শোক। কথা বলার ভাষাও হারিয়েছেন অনেকেই। সন্তান কিংবা আত্মীয় স্বজনদের জন্যে দোয়া প্রার্থনা করছেন সবাই।