ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও রয়েছেন। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন ১৬৪ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।
সোমবার (২১ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর বলেছে, আহত সবাইকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্সে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে আটজন। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে ৭০ জন। সেখানে দুই জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন আছে আরও ১৩ জন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালে দুইজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে কোনো চিকিৎসাধীন নাই। উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে দুইজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১১ জন। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন আছে আরও ৬০ জন। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে একজন।
আইএসপিআর আরও জানায়, বিমানবাহিনী প্রধান সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকায় সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সামরিক বাহিনীর এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য এরই মধ্যে বিমানবাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর ১ টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। এর পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আছড়ে পড়ে।