ঢাকা: শুধু বন্ড মার্কেট নয়, শরীয়াহভিত্তিক মার্কেটের পুরো অবকাঠামোই পুনর্গঠন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
পুঁজিবাজারে নতুন শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের (এসএসি) সদস্য নির্বাচন সংক্রান্ত মনোনয়ন কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) বিএসইসি’র পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় শরীয়াহ ভিত্তিক সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিধি-বিধান, শরীয়াহ অ্যাডভাইজরী কাউন্সিলের গঠন, উহার দায়-দায়িত্ব এবং কার্যক্রম সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেনশন উপস্থাপিত হয় এবং এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম, যাদের অধিকাংশই সুদ ভিত্তিক বিনিয়োগ করার পরিবর্তে শরীয়াহ ভিত্তিক বিনিয়োগ তথা সুদবিহীন বিনিয়োগে উৎসাহিত। এজন্য শুধু বন্ড মার্কেট নয়, শরীয়াহ ভিত্তিক মার্কেটের সম্পূর্ণ অবকাঠামোটাই পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। সেসকল বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে শরীয়াহ ভিত্তিক সিকিউরিটিতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার নিমিত্তবাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল) রুলস, ২০২২ প্রণীত হয়েছে। দেশের পুঁজিবাজারের জন্য ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক বিভিন্ন ধরণের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি করবে।
ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক বিভিন্ন ধরণের সিকিউরিটিজ ইস্যুসহ ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠনের ক্ষেত্রে শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিএসইসির প্রত্যাশা এবং এজন্যই বিএসইসি শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ইসলামিক শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজ নিয়ে আসার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং ইসলামিক সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে আগ্রহী দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আরো উৎসাহী হবেন বলে বিএসইসি মনে করে।