ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মান্যবর অ্যাম্বাসাডর মিস ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। তার সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা মি. জেমস স্টুয়ার্ট।
বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মহিলা বিভাগের নেত্রী সাইদা রুম্মান, ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, ডা. আমিনা রহমান এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল হাসান।
সাক্ষাৎ শেষে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে ডা. তাহের জানান, রাষ্ট্রদূত নির্বাচন, নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চান। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই এবং সকল প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘টেররিজম বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। আমরা সব ধরনের সহিংসতা ও অগণতান্ত্রিক অপচেষ্টার বিরোধিতা করি। জামায়াত সবসময় শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে কাজ করে আসছে।’
বৈঠকে আমিরে জামায়াত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে আরোপিত ৩০ শতাংশ কর প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই কর আমাদের রফতানিমুখী শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমরা অনুরোধ করেছি, বিষয়টি যেন যুক্তরাষ্ট্র সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. তাহের বলেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের বাংলাদেশ অফিস চালু হলে তা যেন দেশের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। মানবাধিকার প্রসার যদি হয় গঠনমূলক ও সম্মানজনকভাবে, তবে আমাদের আপত্তি নেই।’
সৌজন্য সাক্ষাতের একপর্যায়ে জামায়াতের মহিলা নেতারা মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে ঐতিহ্যবাহী একটি জামদানি শাড়ি উপহার দেন।