রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পৃথক তিনটি ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে বিষধর গোখরা সাপে কামড় দিয়েছে। আক্রান্তদের সবাইকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় ও সোমবার সকালে উপজেলার কসবামাজাইল ও যশাই ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটেছে ।
চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন— কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের আজিজ মণ্ডল (৬৫), একই ইউনিয়নের নাদুরিয়া গ্রামের গৃহবধূ হাসিনা খাতুন (৫৫) ও যশাই ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের আসিফ শেখ (১৯)।
আক্রান্ত কৃষক আজিজ মণ্ডল জানান, সকালে পাট জাগ দেওয়ার সময় পাটের সঙ্গে থাকা একটি গোখরা সাপের বাচ্চা তাকে হাতে কামড়ে দেয়।
আহত গৃহবধূ হাসিনা খাতুন বলেন, সকালে রান্নার সময় পায়ে হালকা কিছু কামড়ানোর অনুভূতি হলে তিনি সাপ দেখতে পান। বাড়ির লোকজন সাপটিকে মেরে ফেলেন এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসিনা খাতুনের ছেলে জানান, কিছুদিন আগে তাদের বাড়ির পাশে একটি বাসা থেকে সাপের ৩৬টি ডিমের খোলস ও ১৭টি বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। তবে ১৯টি সাপের বাচ্চার কোনো খোঁজ মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ছড়িয়ে পড়া সেই সাপের বাচ্চাগুলোর একটি তার মাকে কামড় দিয়েছে।
আরেক আক্রান্ত আসিফ শেখ জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে চর দুর্লভদিয়া ব্রিজ এলাকায় অবস্থানকালে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা তার পায়ে কামড় দেয়। তিনিও সাপটিকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি হন।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সাপের কামড়ে তিন জন রোগী হাসপাতালে এসেছে। তারা সবাই বিষধর গোখরা সাপ সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। রোগীদের মধ্যে বিষাক্ত সাপে কাটার লক্ষণ রয়েছে। রোগীদের আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে এখনো রোগীদের মধ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়নি। তাই অ্যান্টিস্নেক ভেনম প্রয়োগ করা হয়নি। তাদের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ভেনম প্রয়োগ করা হবে। হাসপাতালে বর্তমানে পর্যাপ্ত অ্যান্টিস্নেক ভেনম মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।