Monday 21 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্কুল ছুটি থাকায় প্রাণে বাঁচে অনেক শিশু: আহত শিক্ষার্থীর বাবার ভাষ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ জুলাই ২০২৫ ০১:১৫ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ০১:১৮

ঢাকা: “প্রতিদিন যেখানে আমার মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, সেখানেই আগুন। ছুটে গিয়েও কিছু করতে পারিনি।” এভাবেই ভগ্ন হৃদয়ে সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে সারাবাংলার কাছে হৃদয়বিদারক ঘটনার বর্ণনা দেন বিমান বিধ্বস্তে আহত পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাহা তোয়া কর্ণের বাবা আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটে স্কুল ছুটির ঠিক আগ মুহূর্তে অথবা কোচিং চলাকালে। অনেক শিক্ষার্থী আগেই বেরিয়ে যাওয়ায় তারা প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে জানান তিনি।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, “প্রতিদিনের মতো মেয়েকে আনতে গিয়েছিলাম। গেটের কাছে গিয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। কী পড়েছে বুঝতে পারিনি, শুধু আগুন আর ধোঁয়া দেখছিলাম। সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ফেলে গেটের দিকে ছুটে যাই, কিন্তু সেনাবাহিনী ঢুকতে দেয়নি। ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল। যে জায়গায় আগুন জ্বলছিল, সেখানে প্রতিদিনই আমার মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।” এই কথাগুলো বলতে গিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, “প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা মেয়েকে খুঁজে পাইনি। শেষে বার্ন ইউনিটে গিয়ে খোঁজ পাই। আলহামদুলিল্লাহ, সে এখন কথা বলতে পারছে, মোটামুটি ভালো আছে। ইনশাআল্লাহ ও সুস্থ হয়ে যাবে।”

দগ্ধ তোয়ার মুখ, হাত ও ঘাড়ে মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে বলে জানান আজাদ। তার শরীরের অধিকাংশ অংশ ব্যান্ডেজে ঢাকা।

ঘটনাস্থলের ভয়াবহতা নিয়ে তিনি বলেন, “ওখানে গিয়ে দেখি, লাশ ছিঁড়ে-ফেটে পড়ে আছে। চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।”

প্রসঙ্গত, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১৬৪ জন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসএস

বিমান বিধ্বস্ত ভাষ্য