ঢাকা: শিক্ষক তো নয় যেন এক ভগবান। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ছিল শিশু শিক্ষার্থীরা, কিন্তু থেমে থাকতে পারেননি শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম। নিজের জীবন বাজি রেখে তিনি একে একে শিশুদের বাইরে বের করার চেষ্টা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও দগ্ধ হন। কখন পুড়ে গেছেন, তাও টের পাননি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে আবিষ্কার করেন বার্ন ইউনিটের বিছানায়।
আশরাফুল ইসলাম মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত শিক্ষক। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ঝার আমবাড়ীতে। তিনি ভেন্ডাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৩ সালের এসএসসি ব্যাচের ছাত্র।
ওই শিক্ষকের এক স্বজন বলেন, জ্ঞান ফেরার পরও নিজের চিন্তা নেই। তার বাচ্চারা কেমন আছে তাই নিয়ে চিন্তা তার।
বার্ন ইউনিট তিনি যেই ওয়ার্ডে আছেন। সেই ওয়ার্ডে তিনি একাই শিক্ষক বাকি সবাই তার স্টুডেন্ট।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আরেক পরিচিতজন বলেন, লোকটা ব্যাথার থেকে বেশি তার শিক্ষার্থীের জন্য কাতরাচ্ছিল। তিনি বার বার বলছিল,”ভাই,আমার বাচ্চা গুলোর ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন,ওদের কষ্ট হচ্ছে অনেক” এগুলো বলছিল আর কান্না করছিল।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় আশরাফুল ইসলামের আত্মত্যাগ শুধু একজন শিক্ষকের দায়বোধ নয়, এটি একজন প্রকৃত মানুষ ও আদর্শ শিক্ষকের অনন্য দৃষ্টান্ত। এই অবস্থায় নিজেকে সামলানো অনেক কঠিন। মহান আল্লাহর কাছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন তাদের উপর শান্তি বর্ষণ করেন।