ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মঈনুল করিম।
সাংবাদিকদের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, আজ শুনানির শুরুতেই উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে মাইলস্টোনে নিহত-আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন ট্রাইব্যুনাল-২। এরপর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
তিনি বলেন, এ মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে এখনও ২৪ জন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতে হাজির না হওয়ায় পলাতক হিসেবেই বিচারকাজ চলবে। আর গ্রেফতার ছয়জনের দুজন এখনও আইনজীবী নিয়োগ দেননি। তাদের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছেন। একইসঙ্গে পলাতক ২৪ জনের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ছয়জনের জন্য একজন করে আইনজীবী লড়বেন। এছাড়া চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিন সকালে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ, পুলিশ সদস্য রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।
এর আগে, ১৩ জুলাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য মামলায় গ্রেফতার রাসেল ও পারভেজকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পলাতক ২৪ জনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।
গত ৩০ জুন মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে, ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এ ঘটনায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়।