ঢাকা: উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে সারাদেশে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গোটা জাতি শোকে মুহ্যমান। যার যার অবস্থান থেকে হতাহতের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেকেই।
দেশের বৃহত্তর রাজনীতিক দল বিএনপির বাইরে নয়। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গ্রহণ করেছেন একগুচ্ছ মানবিক পদক্ষেপ। বাতিল করেছেন পূর্বনির্ধারিত ‘জুলাই কর্মসূচি’।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে ছিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে পেশাজীবীদের অবদান’’ শীর্ষক আলোচনা ও পেশাজীবীদের সমাবেশ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে লাইভে যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান।
হঠাৎ করেই মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের খবর আসে। তাৎক্ষণিক সভায় বিএনপির দলীয় সঙ্গীত পরিহার করে মাইলস্টোনে নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করা হয়। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয় উদ্ধার তৎপরতা ও মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যেতে। তার নির্দেশে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ঘটাস্থল, ঢাকা মেডিকেল এবং অন্যান্য হাসপাতালে ছুটে যান। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম একটি উদ্ধারকারী টিমসহ অ্যাম্বুলেন্সের বহর নিয়ে মাইলস্টোনে স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের পূর্বনির্ধারিত র্যালি, মহিলা দলের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ‘নারীদের অবদান’ শীর্ষক অনুষ্ঠান বাতিল করেন তারেক রহমান।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের ও পাইলটের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা হয় এবং শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীরকে (পাভেল) সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান। বিএনপির এই স্বেচ্ছাসেবী তৎপরতায় রক্ত সংগ্রহ এবং জায়গা মতো পৌঁছে দেওয়ার কাজ অনেকটা এগিয়ে যায়।