সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মো. হাবিবুর মোড়ল (৩০) নামে এক যুবক খুনের ঘটনায় মা পারুল বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে পারুল বেগমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, হাবিবুর মাদকাসক্ত ছিলেন এবং প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার কপাল ও গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ছিল।
নিহতের স্ত্রী শান্তা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী মাদকাসক্ত। প্রায়ই মাদক সেবন করে আমাকে ও শাশুড়িকে মারধর করত। মোটরসাইকেল কেনার জন্য চাপ দিত। ঘটনার রাতে সে আবারও টাকা চেয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমি বাধা দিতে গেলে সে আমাকে মারধর করে। অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে জ্ঞান ফিরে দেখি, সে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।’
তিনি আরও জানান, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, হাবিবুর তার মাকে কোপাতে গেলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নিজের শরীরেই হাসুয়ার কোপ লাগে।
হাবিবুরের মা পারুল বেগম বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পরিবারে অশান্তি করত। স্ত্রীকে মারধর করছিল। আমি বাধা দিতে গেলে সে আমাকে কোপাতে আসে। ধস্তাধস্তির সময় হাসুয়া তার কপাল ও গলায় লেগে যায়।’
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইনউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তালা থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। মা ও ছেলের মধ্যে ধস্তাধস্তির সময় হাসুয়া তার কপাল ও গলায় লেগে যেতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করার পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নিহতের স্ত্রী শান্তা খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ফলে আমরা ছেলে নিহতের ঘটনায় পারুল বেগমকে আটক করতে সক্ষম হয়।’