রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর চীনের তৈরি তুলনামূলক সাশ্রয়ী এই যুদ্ধবিমান এবং এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কেন এখনো এই পুরোনো মডেলের বিমান ব্যবহার করছে এবং কেন তারা অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করছে না?
তবে, জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছিল, এই প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং পাকিস্তান ও চীনের যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক জিএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কেনার প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে। এই আগ্রহ বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণের আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে।
এদিকে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান চলমান আলোচলার মধ্যে ভারত এই চুক্তি আটকাতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি জিএফ১৭ থান্ডার মাল্টিরোল ফাইটার যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ ভারতকে বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ভারত এটাকে শুধু একটা প্রতিরক্ষা চুক্তি হিসেবে দেখছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন হিসেবে দেখছে। তারা এটিকে ভারতের জন্য হুমকি বিসেবে দেখছে।
প্রতিবেদনে আঞ্চলিক সূত্রগুলো বরাত দিয়ে বলা হয়, ভারত এই চুক্তি আটকাতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ, দিল্লির ধারণা, এই চুক্তি ঢাকার সঙ্গে তাদের দুই প্রধান ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বেইজিং এবং ইসলামাবাদের সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মনে করছে, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বলয়ের বাইরে চলে যাচ্ছে। চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকার ক্রমবর্ধমান সামরিক অংশীদারিত্ব বঙ্গোপসাগরে ভারতের আধিপত্যের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে জিএফ১৭ যুদ্ধবিমান বিক্রি বেইজিং এবং ইসলামাবাদের একটা সুপরিকল্পিত ভূ-রাজনৈতিক চাল হতে পারে, যার লক্ষ্য ভারতের পূর্বাঞ্চলে একটা কৌশলগত চাপ তৈরি করা।