‘নিরাপত্তা দিন, নইলে পদ ছেড়ে দিন’
৩ জুলাই ২০১৮ ১৪:০৬
|| ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ||
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়েছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মঙ্গলবার সকালে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি করা হয়।
সমাবেশে অভিযোগ করা হয়- কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দফায় শনিবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে এবং দ্বিতীয় দফায় রবিবার (১ জুলাই) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় অপর একদল শিক্ষার্থী।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
প্রতিবাদী সমাবেশে নুর আরাফাত বলেন, ‘এ ঘটনাটি আমরা প্রক্টরকে জানাই। প্রক্টর বলেন, অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যে কোনো মুহূর্তে যে কাউকে পেটানো হচ্ছে, কিন্তু হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
প্রক্টরের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রক্টর বলেছেন অভিযোগ দিতে। আমি যদি মার খেয়ে মরে যায়, তাহলে আমার লাশ এসে অভিযোগ করবে?’
সমাবেশে জাকারিয়া হোসেন অনিমেষ নামের অপর এক ছাত্র বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনে ছাত্ররা নির্যাতিত হয় কিন্তু ভিসি, প্রক্টর কিছুই বলেন না। এ ধরনের মনোভাব পোষণ করে তারা উভয়েই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে আপনারা পদ ছেড়ে দিন।’
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ছিল। আপনি যদি না জানেন যে, একজন প্রক্টরকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়, তাহলে আপনার দায়িত্ব ছেড়ে দিন।’
সমাবেশে ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রহসন বন্ধ কর’, ‘যেখানে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের নিরাপত্তা নাই সেখানে বাইরের জনগণের?’ ‘গণতান্ত্রিক দাবি তোলার দুর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘ছাত্ররা মার খায়, ভিসি-প্রক্টর-প্রশাসন কী করে?’ এমন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ সমাবেশের পরে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।
সারাবাংলা/কেকে/এএস