Wednesday 23 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উদ্ভাবনী ৪ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিল বিটিআরসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৩ জুলাই ২০২৫ ২০:৫৮ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫ ২১:৩০

মেলা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

ঢাকা: প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনের জন্য দেশের চার প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত মেলায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব জহিরুল ইসলাম, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অব.) ও বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি সংকেত ব্যবহার করে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তির বিচলন নিয়ন্ত্রণ করতে কৃত্রিম হাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে রোবোলাইফ টেকনোলজিস। প্রতিষ্ঠানটি পুরস্কার হিসাবে পেয়েছে ৩ লাখ টাকা। বিদ্যমান বৈদ্যুতিক পোলকে টেলিকম টাওয়ার হিসেবে ব্যবহার ও বাঁশের তৈরি পরিবেশবান্ধব টাওয়ার নির্মাণ প্রদর্শনের মাধ্যমে তৃতীয় এবং লোডশেডিংয়ের সময় টাওয়ার বা বিটিএসে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উবার পাওয়ার কার তৈরি করে দ্বিতীয় ও পঞ্চম হয়েছে ইডটকো বাংলাদেশ।

স্টার্টআপদের প্রয়োজনীয় রিসোর্স, প্রশিক্ষণ, এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে তৃতীয় হয়েছে গ্রামীণ ফোনের জিপি এক্সেলেরেটর। ক্ষুদ্র ও কুটির উদ্যোক্তাদের জন্য কয়েক ক্লিকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রস্তুত করে চতুর্থ হয়েছে ইবিতানস।

প্রসঙ্গত, ডিজিটাল উদ্ভাবন, তরুণ উদ্যোক্তা এবং প্রযুক্তি-ভিত্তিক সমাধানগুলো ও উদ্ভাবনী চিন্তাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত মেলায় দেশের বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, উদ্ভাবক দল এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টি প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবনী ধারণা, প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান ও গবেষণালব্ধ ৩২টি আইডিয়া প্রদর্শিত হয়েছে।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হয় সেই আলোকে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণাকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হলে তা দেশ ও জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ যাতে ফলপ্রসূ কাজে ব্যয় হয় সে লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তিনটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টেলিকম ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় অংশগ্রহণকারীরা উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে আসলে আইসিটি বিভাগ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব জনাব জহিরুল ইসলাম টেলিকম ও ডিজিটাল মেলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আগামীর সমাজ হবে বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ। যেখানে আমাদের মেধা ও সৃজনশীল আইডিয়া ও উদ্ভাবনী সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারব।’

তরুণ সমাজ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগাতে পারলে দেশের বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা দূর করা যাবে। ডিজিটাল উদ্ভাবন দেশের টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল খাতের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।’

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অব.) বলেন, ‘গত আড়াই দশকে টেলিযোগাযোগ খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা ছিল মূলত কানেক্টিভিটি। আমাদের মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক ১৮ কোটি ও ১৩ কোটি। বর্তমানে ডাটাকেন্দ্রিক যুগ। ডাটার ব্যবহার বাড়লেও তা ফলপ্রসূ কাজে ব্যয় হচ্ছে না। ইনোভেশন বলতে কেবল উচ্চ প্রযুক্তি হওয়া নয়, বরং সেই প্রযুক্তি কিভাবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজে লাগানো যায় সেটা মুখ্য হওয়া উচিত। টেলিকম ও আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করলে এই খাত আরও গতিশীল হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিকসহ বিটিআরসির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা, মেলা অংশগ্রহণকারী ও বিভিন্ন টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচআই

উদ্ভাবনী মেলা পুরস্কার বিটিআরসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর