Sunday 27 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে বিপাকে এশিয়ার পোশাক শ্রমিকদের জীবিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০২৫ ১৩:২৬ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫২

কাজ করছেন পোষাক শ্রমিকরা। ছবি: বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে কঠোর শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। এই সময়সীমা ঘনিয়ে আসায় এশিয়ার পোশাক শ্রমিকদের আতঙ্ক বেড়েছে বহুগুণ।

গত ৯ জুলাই, ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির মেয়াদ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশকে জানিয়েছেন নতুন শুল্ক হার কার্যকর হতে যাচ্ছে। যদিও এপ্রিলের প্রস্তাবিত হারের তুলনায় নতুন শুল্ক কিছুটা কম, তবে এতে উদ্বেগ কমেনি।

পোশাক রফতানিতে শীর্ষ দুই দেশ কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কা শুল্কারোপের এই চিঠি পেয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার ওপর ৩৬ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এই দেশগুলোতে বিশ্বখ্যাত নাইকি, লেভিস ও লুলুলেমন-এর মতো মার্কিন ব্র্যান্ডের অধিকাংশ পোশাক তৈরি হয়।

কম্বোডিয়া ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পোশাক রফতানি করেছে, যেখানে পোশাক খাতে প্রায় ৯ লাখ মানুষ কাজ করেন।

শ্রীলঙ্কায় এই খাতে সরাসরি কর্মরত আছেন প্রায় ৩ দশমিক ৫ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি থেকে এই খাত গত বছর ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উৎস।

শ্রীলঙ্কা ও কম্বোডিয়া উভয় দেশই নতুন আলোচনার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলছে। শ্রীলঙ্কা এখন পর্যন্ত ১৪ শতাংশ পয়েন্ট ছাড় পেয়েছে, আর কম্বোডিয়া পেয়েছে ১৩ পয়েন্ট।

কম্বোডিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী সান চানথল বলেন, ‘আমরা চাই শুল্ক হার শূন্যে নামানো হোক। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং আলোচনার পথ খোলা রাখব।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমদানি-রফতানির ভারসাম্যহীনতা কমাতে শুল্ক জরুরি। ‘আমাদের সম্পর্ক কখনোই পরিপূর্ণভাবে পারস্পরিক ছিল না।’

কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের ৭০ শতাংশই নারী। নিম্ন মজুরি এবং শ্রম অধিকারহীনতার কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

সারাবাংলা/এনজে

এশিয়া ট্রাম্প পোশাক শ্রমিক শুল্ক নীতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর