ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে অনিষ্পন্ন দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিগুলো চূড়ান্তপূর্বক সেগুলো সই করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সেশেলস এর রাষ্ট্রপতি ওয়েভেল রামকালাওয়ান।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সেশেলস এর স্টেট হাউসে সেদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত অনাবাসিক হাই কমিশনার ড. জকি আহাদ আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতকালে সেশেলসের রাষ্ট্রপতি বলেন, সেশেলস সর্বদা বাংলাদেশ ও সেশেলসের মধ্যকার সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
এ সময় সেশেলসে কর্মরত বিভিন্ন খাতে বিশেষত: নির্মাণ, কৃষি ও পর্যটন খাতে নিয়োজিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের প্রশংসাও করেন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচয়পত্র পেশের পর সেলেশসের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অনাবাসিক হাই কমিশনারকে তার অভিনন্দন ও উষ্ণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে তার শুভ কামনা জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেশেলসের রাষ্ট্রপতি ঢাকার একটি স্কুল ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতকালে হাই কমিশনার ড. জকি আহাদ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং সেশেলসে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি তার মেয়াদকালে দু‘দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দৃঢ়করণ এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রকে নতুন পর্যায়ে উন্নীতকরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণও জানান তিনি।
ড. আহাদ সেশেলসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি সেশেলস এ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়ায় সেশেলস সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উভয় পক্ষ তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, উভয় সরকার দু‘দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সহযোগিতার নতুন নতুন পথ সন্ধানের জন্য ভবিষ্যতে কাজ করে যাবে।
হাই কমিশনার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট, চামড়া এবং অন্যান্য শিল্প খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করেন।
হাই কমিশনার ড. আহাদ বলেন, বাংলাদেশ তার সুনীল অর্থনীতি খাতের উন্নয়নে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে সেশেলস বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সহযোগিতা করতে পারে।