রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের আমুর অঞ্চলে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। ৫০ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা (টিএএসএস)। বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন শিশু এবং ছয়জন ক্রু সদস্যও ছিল।
বিমানটি ১৯৭৬ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এর বয়স প্রায় ৫০ বছর। দুর্ঘটনার পর পরই রাশিয়ার বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অবতরণের সময় খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল। টিএএসএস বলেছে, ‘অবতরণের সময় দৃশ্যমানতার ঘাটতির কারণে ক্রুর ভুলকেই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
বিমানটি ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে উড্ডয়নের পর টিনদা শহরের দিকে যাচ্ছিল। চীনের সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের এই শহরের কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাসিলি ওরলভ।
আঞ্চলিক গভর্নর ওরলভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘বিমানটি খোঁজার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় শক্তি ও উপকরণ মোতায়েন করা হয়েছে।’
একটি হেলিকপ্টার থেকে বিমানের পোড়া ধ্বংসাবশেষ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি পরিষেবার কর্মকর্তা ইউলিয়া পেতিনা। উদ্ধারকারী দল এখনও দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কাজ করছে।
বিমানটি ১৯৭৬ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এর বয়স প্রায় ৫০ বছর। দুর্ঘটনার পর পরই রাশিয়ার বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।