ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি স্কটল্যান্ডের সঙ্গে এক ভিন্নধর্মী পারিবারিক সংযোগও রয়েছে। সেটি তার মায়ের কারণেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মা মেরি অ্যান ম্যাকলাউড, জন্মেছিলেন স্কটল্যান্ডের হেব্রাইডস দ্বীপপুঞ্জের লুইস দ্বীপে। এক শতাব্দী আগে জীবিকার সন্ধানে আমেরিকা পাড়ি দিয়ে তিনি পৌঁছেছিলেন নিউ ইয়র্কে।
মেরি অ্যান ১৯১২ সালে জন্মগ্রহণ করেন লুইস দ্বীপের টং নামক গ্রামে। তার বাবা ম্যালকম ম্যাকলাউড ছিলেন ডাকঘর ও দোকানের মালিক। সে সময় গ্রামটির তুলনায় তাদের পরিবার কিছুটা স্বচ্ছল ছিল, তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী দারিদ্র্য ও কষ্টের সময়ে বহু তরুণ-তরুণী পশ্চিম দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে চলে যান উন্নত জীবনের খোঁজে।

মায়ের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বিবিসি
মেরি অ্যানের এক বোন ক্যাথরিন আগেই কানাডা হয়ে নিউ ইয়র্কে চলে যান। ১৯৩০ সালে তিনি স্কটল্যান্ডে ফিরলে তার সঙ্গে ১৮ বছরের মেরি অ্যানও যান আমেরিকায়। সেখানে এক ধনী পরিবারের নার্স বা গৃহপরিচারিকার চাকরি নিলেও, ওয়াল স্ট্রিট ধ্বসের পর চাকরি হারান।
মেরি অ্যান ১৯৪২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। তিনি চ্যারিটি কাজেও নিয়মিত অংশ নিতেন এবং জীবনের শেষ পর্যন্ত গ্যালিক ভাষায় কথা বলতেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০০০ সালে, ৮৮ বছর বয়সে। মেরি অ্যান এবং তার স্বামী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ফ্রেড ট্রাম্পের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন ডোনাল্ড জন ট্রাম্প।
লুইস দ্বীপে এখনও ট্রাম্পের তিনজন চাচাতো ভাইবোন বসবাস করেন, যাদের মধ্যে দুইজন আদি বাড়িতে থাকেন। তারা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে বরাবরই অনিচ্ছুক।