ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থান জাতির সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি। এর মধ্য দিয়ে দেশে নবযাত্রার সূচনা হয়েছে। এই নবযাত্রায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশ্বদরবারে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে দেশের ইতিহাস, আত্মত্যাগ এবং প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা উঠে আসে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতির সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটি নবযাত্রার সূচনা করেছি, যার ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে বিশ্বদরবারে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করছে।
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনের শহীদ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র মো. ইরফান ভূঁইয়ার বাবা মো. আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে একটি আবেগঘন বক্তব্য দেন, যা উপস্থিত সবাইকে আবিষ্ট করে তোলে।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির সাহসী যোদ্ধা আহমেদ সামরান। তিনি আন্দোলনের পটভূমি, তরুণদের ভূমিকা এবং প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) একেএম আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই সেমিনার শুধু ইতিহাস জানার নয়, বরং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার একটি সুযোগ।
আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশের আত্মত্যাগের গৌরবময় ইতিহাস, জাতির এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প এবং প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়নের পথচলার বাস্তবতা নিয়ে বাস্তব ও ভবিষ্যতঘেঁষা বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
এই আয়োজন নতুন প্রজন্মকে দেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সম্পর্কে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্মাণে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আয়োজকরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থা ও প্রকল্পের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।