ঢাকা: বিমান ফ্লাই জোনের ভেতরে সব ধরনের ভবন সরিয়ে ফেলতে হবে। না সরালে ভবিষ্যতে আবারও দুর্ঘটনা ঘটলে মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে।
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান।
তিনি বলেন, যাত্রীবাহী বিমানও যেকোনো সময় ফ্লাই জোনের ভেতর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিশ্বের অত্যাধুনিক দেশগুলোতে বিমানবন্দর শহর থেকে দূরে থাকে। যখন ঢাকায় বিমানবন্দর বানানো হয়েছিল তখন আশপাশ ফাঁকা ছিল। কিন্তু রাজউক কার স্বার্থে উত্তরায় থার্ড ফিল্ড পরিকল্পনা করেছে তা জানা নেই। এই ভবনগুলো করতে রাজউক কেন বাধা দেয়নি? এর সঙ্গে রাষ্ট্রও জড়িত। রাজউক ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কেউ দায়িত্ব পালন করেনি।
বিআইপির সভাপতি বলেন, রাজউকের বিরুদ্ধে কেন তদন্তের ব্যবস্থা নাই। বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর সব রেস্টুরেন্ট নিরাপদ হয়ে যাবে বলে ভেবেছিলাম সবাই। কিন্তু সব পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। ফ্লাই জোনের ভেতরে হাউজিংগুলো বানাতে তারা কাউকে না কাউকে ম্যানেজ করেছে এটাই পরিষ্কার। অন্তর্বর্তী সরকার না পারলে রাজনৈতিক সরকার এসব সমাধান করতে কতটুকু পারবে সেটাই প্রশ্ন।
বিআইপির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ফ্লাই জোন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে কেন ভবন গড়ে উঠল সেই গবেষণা করা হয়েছে। কলেজ এলাকাটি আগে জলাবদ্ধ অবস্থায় ছিল এবং ওই ভাবেই রাখার কথা ছিল। যেহেতু রাজউক অনুমোদন দিয়েছে তাই তাদের দায়বদ্ধতা আছে। মাইলস্টোন কলেজের অনাপত্তি দিয়েছিল সিভিল এভিয়েশন। তারা কিভাবে এটি দিল। যে অনাপত্তি দিয়েছে সেই কর্মকর্তার এসব নিয়ে কোনো জ্ঞান নাই। এই দুর্ঘটনায় তারা সবাই জড়িত।
যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজীদ বলেন, জননিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে কোনো উন্নয়ন করা যায় না। ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকার ভবনগুলো ১৫০ ফিটের ভেতরে। এছাড়াও এখানে প্রিয়াঙ্কা ও রূপায়ণ হাউজিং আছে। আর বিমান উড্ডয়নের ক্ষেত্রে বারিধারা ও বসুন্ধরাও ঝুঁকিতে রয়েছে।