Saturday 26 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যেকোনো সময় ভোটার তালিকা প্রকাশের ক্ষমতা পেল ইসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৫ জুলাই ২০২৫ ১৭:২২

নির্বাচন কমিশন। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

ঢাকা: ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এখন আর ২ মার্চ নয়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে বছরের যেকোনো সময় তফসিলের আগে ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারবে।

সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০২৫’ জারি করেছে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আইনের এই সংশোধনে ফলে প্রায় ৬০ হাজার তরুণ ভোটারদের ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টি হলো।’

এর আগে নিয়ম ছিল, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করার পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ বছর ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন। জুনের মধ্যে ভোটারযোগ্য আরও সাড়ে ৪৪ লাখ ভোটারের তথ্য নিবন্ধন করা হয়।

কিন্তু, এ হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ নিয়ে বিপত্তি বাধে, কারণ বিদ্যমান নিয়মে ওই তালিকা প্রকাশের জন্য আগামী বছরের ২ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অথচ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

এমন পরিস্থিতিতে বছরের যেকোনো সময় ইসি যেন ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারে, সেজন্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

গত ১৭ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদ সংশোধিত ভোটার তালিকা আইনের খসড়া অধ্যাদেশ আকারে জারির অনুমোদন দেয়। তাতে তফসিলের আগে ভোটারদের তালিকাভুক্ত করে তালিকা প্রকাশের বিধান যুক্ত করা হয়।

এখন অধ্যাদেশ জারির ফলে তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন বছরের যে কোনো সময় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করতে পারেব।

সংশোধনী অধ্যাদেশে যা রয়েছে

২০০৯ সনের ৬ নম্বর আইনের ধারা ৩-এর সংশোধন সংক্রান্ত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩-এর দফা (জ)-এ ‘জানুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ’ শব্দগুলোর পর ‘কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ’ শব্দগুলো সন্নিবেশিত হবে।

এ ছাড়া ২০০৯ সনের ৬ নম্বর আইনের ১১ ধারা সংশোধন করে নতুন উপ-ধারা (১) যোগ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘(১) কম্পিউটার ডেটাবেজে সংরক্ষিত বিদ্যমান সকল ভোটার তালিকা, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত অথবা তফসিল ঘোষণার পূর্বে ধারা ৩-এর দফা (জ)-এর অধীন ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ করা হবে। যেমন (ক) যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়নি, তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করা; (খ) যেসব ভোটার মৃত্যুবরণ করেছেন বা অযোগ্য হয়েছেন, তাদের নাম কর্তন করা এবং (গ) যারা এলাকার পরিবর্তন করেছেন, তাদের নাম পূর্বের তালিকা থেকে কেটে করে নতুন এলাকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। তবে শর্ত থাকে, ওপরের সময়সীমায় হালনাগাদ না হলেও ভোটার তালিকার বৈধতা বা ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে না।’

ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা (জ)-এ বলা ছিল, ‘যোগ্যতা অর্জনের তারিখ’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিটি ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন বা হালনাগাদের ক্ষেত্রে সেই বছরের ১ জানুয়ারি।

এ বিধান অনুযায়ী, ১ জানুয়ারির পরে যারা ১৮ বছর পূর্ণ করতেন তাদের ভোটার হতে এক বছর অপেক্ষা করতে হত।

সারাবাংলা/এনএল/এইচআই

ইসি নির্বাচন ভোটার তালিকা ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০২৫

বিজ্ঞাপন

ঢাকার বাতাস আজ 'সহনীয়'
২৬ জুলাই ২০২৫ ১২:২৫

আরো

সম্পর্কিত খবর