চট্টগ্রাম ব্যুরো: ফ্যাসিবাদের পেছনে কিছু সাংবাদিক নামের অ্যাক্টিভিস্ট ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমরা যে ফ্যাসিবাদ দেখেছি, সাধারণত হাসিনাকেই আমরা ফ্যাসিবাদের অবয়ব হিসেবে দেখি। কিন্তু আমার বিশ্বাস এবং আমার ধারণা, যেহেতু আমি মিডিয়াতে কাজ করেছি, এই ফ্যাসিবাদের পেছনে খুব ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করছে কিছু সাংবাদিক নামের অ্যাক্টিভিস্ট। যারা আচরণ এবং কর্মকাণ্ডে শেখ হাসিনার চেয়েও বড় ফ্যাসিবাদী। তারা পারলে অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র কাজ করতো। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও পাবেন না, সাংবাদিকরা অস্ত্র চালানোর জন্য উৎসাহিত করে। যেটি পাওয়া গেছে বাংলাদেশে, যেখানে সাংবাদিকরা একসঙ্গে শেখ হাসিনাকে বলেছেন-আপনি দমন করুন, এদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিন। আমাদের অনেক কষ্ট, অনেক শ্রম, অনেক ব্যথা, অনেক বেদনা।’
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের একটা শেল্টার হচ্ছে প্রেসক্লাব, যেখানে অন্তত তারা কথা বলার সুযোগ পায়। সেখানে পর্যন্ত আমরা দেখেছি, এই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব যারা দখল করেছিলেন, যারা এটাকে ব্যক্তিগত সম্পদ বানিয়ে ফেলেছিল, এ ধরনের ব্যবহার করেছেন শুধু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে।’
কোনো ভুলের কারণে যাতে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে বহুবার। কিন্তু সেই ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়ায় আমাদের ভুলের কারণে।’
তিনি বলেন, ‘একটা বছর যেতে না যেতেই আমি এই কথাগুলো সব জায়গায় বলেছি। সেদিন জনসভায় বলেছি, ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা হয়েছে, সেখানেও বলেছি যে, জামায়াত-বিএনপির দ্বন্দ্বে আবার কিন্তু ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে।’
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মওলা মুরাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, দিদারুল আলম, জাতীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ লোকমান, দৈনিক কালের কণ্ঠের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, বাসসের মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, কামরুল হুদা ও মজুমদার নাজিম উদ্দিন।