Saturday 26 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকার বাতাস আজ ‘সহনীয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৬ জুলাই ২০২৫ ১২:২৫ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১২:৩০

বায়ু দূষণ। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: দীর্ঘদিনের অতিমাত্রায় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা আজ কিছুটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশে দিন শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার বায়ুমান সূচক (একিউআই) ছিল ৭৩—যা ‘সহনীয়’ পর্যায়ে পড়ে।

এর আগের দিন, শুক্রবার সকালে ঢাকার একিউআই ছিল ৪৪, যা আরও উন্নত মানের বাতাস নির্দেশ করেছিল। বর্ষাকালের বৃষ্টিপাতের কারণে বাতাসে ধুলিকণা ও অন্যান্য দূষণকারী উপাদানের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বায়ুমানের এই উন্নতি ঘটেছে বলে পরিবেশবিদরা মনে করছেন।

তবে একিউএয়ারের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ ২৫তম, যেখানে শুক্রবার ছিল ৮৫তম। এদিকে তালিকার শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা, যেখানে বায়ুমান সূচক ১৮১—যা সবার জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত।

বিজ্ঞাপন

এরপরের স্থানগুলো দখল করেছে মিশরের কায়রো (১৭৪), বাহরাইনের মানামা (১৭১), কানাডার মন্ট্রিয়েল এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা (উভয়ের একিউআই ১৬৬)।

বায়ুমান সূচক অনুযায়ী দূষণের মাত্রা:

  • ০-৫০: বিশুদ্ধ
  • ৫১-১০০: সহনীয়
  • ১০১-১৫০: সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর
  • ১৫১-২০০: সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর
  • ২০১-৩০০: খুব অস্বাস্থ্যকর
  • ৩০০+: বিপর্যয়কর

স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরামর্শ:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। এসব কণা ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় পরামর্শ দিয়েছে—

  • বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে,
  • সংবেদনশীল ব্যক্তিদের (শিশু ও বৃদ্ধ) অপ্রয়োজনে বাইরে না যেতে,
  • নির্মাণস্থলে ছাউনি ও পানি ছিটানো নিশ্চিত করতে,
  • ধোঁয়াসৃষ্টিকারী পুরোনো যানবাহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে।

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে ২০২৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণে প্রতিবছর প্রায় ৫২ লাখ মানুষ মারা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের কারণে বছরে প্রাণ হারায় প্রায় ৬৭ লাখ মানুষ।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বায়ু দূষণকে অবহেলা না করে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ পরিবেশ গঠনের দিকে মনোযোগী হতে হবে।

সারাবাংলা/এফএন/ইআ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর