নোয়াখালী: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে নোয়াখালীতে আবারও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে তেমন একটা বৃষ্টি না হলেও শনিবার ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, নোয়াখালী সদর, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচরের বিভিন্ন অঞ্চলের নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টির ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ এবং যানবাহনের চালকদের।
জেলা শহরের বাসিন্দা ওসমান বলেন, এভাবে যদি টানা বৃষ্টি থাকে। তাহলে গত বারের চেয়ে ভয়াবহ বন্যা হবে। ইতিমধ্যে নিম্নাঞ্চল গুলোতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এতে পানিতে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো পরিবার। বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে বসবাসরত হরিণসহ বন্য প্রাণীগুলোর জন্য সৃষ্ট হয়েছে হুমকি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। এতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। অনেক এলাকায় পানি ঢুকে ঘরের ভেতর ঢুকেছে।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে নৌ যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিঝুম দ্বীপসহ অনেক নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আরও কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে।