ঢাকা: জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নানা পর্যবেক্ষণ ও বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের একটি সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টে উঠে এসেছে এমন কিছু ‘আনপপুলার’ (কম আলোচিত) তথ্য, যা আবারও আলোচনায় এনেছে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফাইয়ের ফেসবুক পেজে সারজিস আলম লিখেছেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আজ অবধি সেনাপ্রধান প্রতি শনিবার সিএমএইচে গিয়ে জুলাইয়ে আহতদের দেখতে গেছেন। ব্যতিক্রম কয়েকটি সপ্তাহ ছাড়া এই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে, যা উপদেষ্টাদের সম্মিলিত ভিজিট সংখ্যার চেয়েও বেশি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঢাকা সিএমএইচেই সবচেয়ে গুরুতর আহতদের মানসম্মত চিকিৎসা ও ব্যয়বহুল সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তির চিকিৎসা ব্যয়ে সর্বোচ্চ বরাদ্দ হয়েছে।
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানই আহত এবং শহিদ পরিবারদের আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন বলেও দাবি করেন সারজিস।
এদিকে সারজিস আলমের পোস্টটিতে কমেন্ট করেছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, “এই ধরনের ব্যক্তিগত মনোযোগ এবং ইনস্টিটিউশনাল সাপোর্ট অনেক সময় দৃশ্যমান হয় না, কিন্তু এর সামাজিক প্রভাব গভীর।”
উল্লেখ্য, সারজিস আলম নিজেও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের পাঁচজন গ্রেপ্তার সমন্বয়কের একজনও তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে তার এই পোস্ট রাজনৈতিক এবং মানবিক—দুই দিক থেকেই সমানভাবে প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকে প্রশংসা করছেন সেনাবাহিনীর এই অবদান তুলে ধরার জন্য, আবার কেউ কেউ এর পেছনে রাজনৈতিক বার্তা খুঁজছেন।