ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন এবং গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ছয়টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৬৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম একনেক সভা।
সভায় নতুন ছয়টি প্রকল্প ছাড়াও ইতোপূর্বে অনুমোদিত ৬টি প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি প্রকল্পে মোট ব্যয় বেড়েছে ৮৮২ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং একটি প্রকল্পের ব্যয় ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা কমেছে।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
অনুমোদিত নতুন ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ২ হাজার ৮৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্প; ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্প’; ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প; ৬৫০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০টি (১২টি নতুন ও ৮টি ফায়ার স্টেশন পুনঃনির্মাণ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন’ প্রকল্প; ৩৯৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কন্দাল ফসল গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প’।
সংশোধিত ৬টি প্রকল্পের মধ্যে- ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (২য় সংশোধিত ৪র্থবার বৃদ্ধি)’ প্রকল্পে ৪৬৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা; ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিকস ও ফ্রিট মেইনটেন্যান্স ফ্যাসিলিটিস গড়ে তোলা (২য় সংশোধন)’ প্রকল্পে ১৭১ কোটি ২১ লাখ টাকা; ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অব বিপিডিবি (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১৫১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা; মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি’র অফিসার্স মেস ও বিওকিউ নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৭৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের যাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত ৪র্থ বার বৃদ্ধি)’ প্রকল্পে ১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয় বেড়েছে। অন্যদিকে ‘বদ্দারহাট বাড়াইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন (৩য় সংশোধন)’ প্রকল্পে ব্যয় কমেছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।