ঢাকা: সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি নদীতে আগামী তিনদিনের মধ্যে পানি সতর্কসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে করে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
ফেনী জেলার মুহুরী নদীর পানি আগামী দুইদিনের মধ্যেই সতর্কসীমায় পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের হালদা, সাঙ্গু, গোমতী, ফেনী ও মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়ছে। এই প্রবণতা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সিলেট বিভাগের কংস নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যাদুকাটা নদী রয়েছে স্থিতিশীল অবস্থায়। তবে সারিগোয়াইন ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। আগামী তিনদিন এসব অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যার ফলে নতুন করে জলাবদ্ধতা কিংবা স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে, উত্তরের তিস্তা নদীর পানি বর্তমানে কমছে এবং আগামী দুইদিন তা স্থিতিশীল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানিও হ্রাস পাচ্ছে এবং তা বিপদসীমার নিচেই থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ বর্তমানে ভারতের স্থলভাগে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং জনসাধারণকে নদীর পানি ও আবহাওয়ার সর্বশেষ খবর নিয়মিত অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।