নোয়াখালী: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল। এতে হাতিয়ার প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় পানিবন্দি হয়ে হয়েছেন উপকূলের হাজার হাজার মানুষ। ভেসে গেছে মাছের ঘের।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, অমাবস্যা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে গত দুই দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন প্রায় ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গেছে, জলোচ্ছ্বাসে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বেড়িবাঁধের বাইরের হাজার হাজার মানুষ। জোয়ারে সুখচর ইউনিয়নের ২, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডসহ অধিকাংশ এলাকা সম্পূর্ণ ডুবে যায়।
এসব এলাকায় জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বসতঘর, রান্নাঘর, বাড়ির আঙিনা, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে আছে।
সুখচর ছাড়াও নলচিরা, চরইস্বর ও নিঝুম দ্বীপের বিস্তীর্ণ জনপদেও পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দমারচর, ঢালচর, চরগাসিয়া, নলের চর, বয়ার চর, চর আতাউর ও মৌলভীর চরে ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি।
হাতিয়ার নলচিরা গ্রামের বাসিন্দা আরিফ বলেন, জোয়ারে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোনা পানি প্রবেশ করে কৃষি জমি ও মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারে তুপানিয়া, আল-আমিন গ্রাম ও নলচিরা এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।