গ্রিসে চলমান দাবানল ও তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রোববার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত দেশটির পাঁচটি প্রধান এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে দমকল বাহিনী। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা দাবানল পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
কাইথিরা ও এভিয়া দ্বীপে সবচেয়ে বড় দুটি দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে চলছে হেলিকপ্টার ও পানিবাহী বিমানের সহায়তায় অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম। কাইথিরায় পিৎসিনাদেস গ্রাম থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। রোববার নতুন করে ভেনিশিয়ানিকা ও পিৎসিনাদেসের বাসিন্দাদের লিভাদির দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এভিয়া দ্বীপের পিসোনা অঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় ছয়জন দমকলকর্মী দগ্ধ ও ধোঁয়া শ্বাসে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দাবানলের কারণে কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গ্রিস সরকারের জলবায়ু সংকট ও নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী ইয়ানিস কেফালোগিয়ানিস জানিয়েছেন, ‘এই দাবানলে মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আহত হয়েছেন, ঘরবাড়ি ও বনভূমি পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।’
তীব্র তাপপ্রবাহ ও দমকা হাওয়ার কারণে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চেয়ে ছয়টি অতিরিক্ত অগ্নিনির্বাপক বিমান চেয়েছে গ্রিস।
অন্যদিকে প্রতিবেশী তুরস্কেও পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিলোপিতে তাপমাত্রা ৫০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
পানি সংকট মোকাবেলায় তুরস্কের পশ্চিম উপকূলীয় শহর চেশমেসহ কয়েকটি অঞ্চলে পানির ব্যবহার সীমিত করার জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।