ঢাকা: বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়োজাহাজ কিনতে যাচ্ছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৯টি বোয়িং কেনার জন্য এরই মধ্যে অর্ডার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, আগে আমাদের ১৪টি অর্ডার ছিল। এখন শুল্ক ঘাটতি আরও কমাতে এ অর্ডার ২৫টি করেছি। সচিব বলেন, এই বোয়িং কোম্পানি তাদের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী এগুলো সরবরাহ করবে। এগুলো সরবরাহ করতে তারা অনেক সময় নেবে। দুয়েক বছর লাগবে।
রোববার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘বোয়িংয়ের ব্যবসাটা কিন্তু সে দেশের সরকার করে না, বোয়িং কোম্পানিগুলো করে। আমরা ২৫টি বোয়িং কেনার জন্য অর্ডার দিয়েছি। একইভাবে ভারত ও ভিয়েতনাম ১০০টি ও ইন্দোনেশিয়া ৫০টি বোয়িং কিনছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৩ জুলাই আমরা আমাদের অবস্থানপত্র দিয়েছিলাম। আগামী ২৯ ও ৩০ জুলাই সরাসরি বৈঠক হবে ওয়াশিংটনে ইউএসটিআরের অফিসে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, প্রধান উপদেষ্টার রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আমিও যাব।’
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমাদের অবস্থানপত্রের ওই বিষয়গুলো এখানে সরাসরি বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেজন্য আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হবে।’
এদিকে ওই বৈঠকে সয়াবিন ও তুলা আমদানি প্রসঙ্গে কিছু উদ্যোগ রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘সয়াবিন যারা বেসরকারিভাবে আমদানি করে, তারা চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানিকারকদের থেকে আনতে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ইউএসটিআরের সঙ্গে বসব, তখন বেসরকারি আমদানিকারকরা ওই দেশের সয়াবিন রফতানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করবে। আশা করছি, তাদের মধ্যেও একটি সমঝোতা হবে। এ ছাড়া, তুলা আমদানির বিষয়ে আগেই চূড়ান্ত হয়েছে। তিন বছর আগে আমরা ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের তুলা আমদানি করতাম, সেটা এখন কমে গেছে। সেটা আবারও আগের অবস্থায় নিতে পারলে সেখানেই ১ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি কমবে।’
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে ১৬২ সিটের চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৪১৯ সিটের চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এবং দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট রয়েছে।
