Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আন্দোলনকারীদের ওপর ‘হানাদার আক্রমণ’: রিজভী


৩ জুলাই ২০১৮ ১৮:০৬

।। স্টাফ করেসপনডেন্ট ।।

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ ‘হানাদার আক্রমণ’ চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৩ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘তিন দিন আগে থেকে শুরু হয়ে গতকাল পর্যন্ত ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো আক্রমণ চালিয়েছে। এতে সারা দেশের মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকালও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ওপর ছাত্রলীগ দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। এ সময় ছাত্রীদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা নারীদের ওপর ‘৭১ এর হানাদার বাহিনীর নির্মতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।’

‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রড, হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি দিয়ে সাপ মারার মতো যেভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে, তাতে আওয়ামী লীগের সেই লগি-বৈঠার তাণ্ডবের কথাই মনে করিয়ে দেয়’— বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের নামের সাথে ছাত্র নামটি জুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ গোটা ছাত্র সমাজকেই অপমানিত করেছে। ভোগ, লালসা, দাপট, খুন, জখমের চেতনায় বর্তমান ছাত্রলীগকে গড়ে তোলা হয়েছে। নৈরাজ্যের বিভীষিকায় দেশ নিমজ্জিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই রক্তে রঞ্জিত। ছাত্রীদের ওপর লাঞ্ছনা ও নির্যাতনের হিড়িক এক আতঙ্কজনক মাত্রা লাভ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী প্রশ্ন তোলেন, কোটা আন্দোলনের ছাত্রনেতা রাশেদ কোন অপরাধে পাঁচ দিনের রিমান্ড খাটছে? ধারালো অস্ত্রে মারাত্মকভাবে আহত কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্রনেতা নুরু যাতে চিকিৎসা না পায়, সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা হানা দেয়। চিকিৎসা না দিয়ে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও তাকে বের করে দেওয়া হয়। সে গতকালও সাংবাদিকদের সামনে বাঁচার আকুতি জানিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ধরাশায়ী না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনরত ছাত্রনেতা ফারুকের ওপর উপুর্যপুরী আঘাত করা হয়। সাহায্যের জন্য একজন মহিলা দ্রুত তার দিকে ছুটে গেলেও ছাত্রলীগের ক্যাডার’রা কোন দয়া দেখায়নি।’

তিনি জানান, নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অথবা মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনের জন্য ইতোমধ্যে পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ও মহানগর নাট্যমঞ্চের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এসও/এজেড/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর